আশাপূর্ণা দেবী (৮ জানুয়ারি ১৯০৯ – ১৩ জুলাই ১৯৯৫) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জীবন, বিশেষত সাধারণ মেয়েদের জীবনযাপন ও মনস্তত্ত্বের চিত্রই ছিল তার রচনার মূল উপজীব্য। ব্যক্তিজীবনে নিতান্তই এক আটপৌরে মা ও গৃহবধূ আশাপূর্ণা ছিলেন পাশ্চাত্য সাহিত্য ও দর্শন সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞা। বাংলা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও ভাষায় তার জ্ঞান ছিল না। বঞ্চিত হয়েছিলেন প্রথাগত শিক্ষালাভেও। কিন্তু গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও পর্যবেক্ষণশক্তি তাকে দান করে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখিকার আসন। তার প্রথম প্রতিশ্রুতি-সুবর্ণলতা-বকুলকথা উপন্যাসত্রয়ী বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ রচনাগুলির অন্যতম বলে বিবেচিত হয়। তার একাধিক কাহিনি অবলম্বনে রচিত হয়েছে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। দেড় হাজার ছোটোগল্প ও আড়াইশো-র বেশি উপন্যাসের রচয়িতা আশাপূর্ণা সম্মানিত হয়েছিলেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার সহ দেশের একাধিক সাহিত্য পুরস্কার, অসামরিক নাগরিক সম্মান ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে প্রদান করেন পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ সম্মান রবীন্দ্র পুরস্কার। ভারত সরকার তাকে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমি ফেলোশিপে ভূষিত করেন।
Courtesy :
BG Sound by Freesound.org
Image by Gordon Johnson from Pixabay
লীলা মজুমদার (ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৯০৮ - এপ্রিল ৫, ২০০৭) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখিকা। তিনি কলকাতার রায় পরিবারের প্রমদারঞ্জন রায় ও সুরমাদেবীর সন্তান (বিবাহপূর্ব নাম লীলা রায়)। তার জন্ম রায় পরিবারের গড়পাড় রোডের বাড়িতে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (যাঁর পৈতৃক নাম ছিল কামদারঞ্জন রায়) ছিলেন প্রমদারঞ্জনের ভাই এবং লীলার কাকা। সেইসূত্রে লীলা হলেন সুকুমার রায়ের খুড়তুতো বোন এবং সত্যজিৎ রায়ের পিসি।
লীলার বাল্যজীবন কাটে শিলঙে যেখানকার লরেটো কনভেন্টে তিনি পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজী পরীক্ষায় তিনি ইংরাজীতে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেন। তিনি বহু সংখ্যক বাংলা গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস রচনা করে নানান পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন। তিনি অনেক শিক্ষামূলক রচনা ও রম্যরচনা ইংরাজী থেকে বাংলায় অনুবাদও করেন।
১৯৩৩ সালে লীলা বিবাহ করেন দন্ত চিকিৎসক ডাঃ সুধীর কুমার মজুমদারকে। এই বিবাহে তাঁর পিতার প্রবল বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও তিনি তাঁর স্বনির্বাচিত পাত্রকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেন। পিতৃপরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকলেও পিতার সঙ্গে সম্পর্ক চিরকালের মতো ছিন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে লীলা-সুধীর খুব সুখী দম্পতি ছিলেন। স্বামী আজীবন লীলার সাহিত্য চর্চায় উৎসাহী ছিলেন। তাদের এক পুত্র ডাঃ রঞ্জন মজুমদার ও এক কন্যা কমলা চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর প্রথম গল্প লক্ষ্মীছাড়া ১৯২২ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় সন্দেশ পত্রিকা পুনর্জীবিত করলে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৪ অবধি সাম্মানিক সহ-সম্পাদক হিসাবে পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, ১৯৯৪-এ তার স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য অবসর নেন। তার সাহিত্যিক জীবন প্রায় আট দশকের।
তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হল: হলদে পাখির পালক, টং লিং, পদি পিসীর বর্মী বাক্স, সব ভুতুড়ে, মাকু, গল্পসল্প
পাকদণ্ডী নামে তার লেখা আত্মজীবনীতে তার শিলঙে ছেলেবেলা, শান্তিনিকেতন ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর সঙ্গে তার কাজকর্ম, রায়চৌধুরী পরিবারের নানা মজার ঘটনাবলী ও বাংলা সাহিত্যের মালঞ্চে তার দীর্ঘ পরিভ্রমণের কথা বর্ণিত হয়েছে।
তার প্রথম আত্মজীবনী 'আর কোনখানে'-এর জন্য ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্র পুরস্কার পান।
Courtesy :
BG Sound by Freesound.org
Image by OpenClipart-Vectors from Pixabay
মৃদুল সেন গুপ্ত এর জন্ম ১৯৮২ সালে সোদপুর , পানিহাটি। বর্তমানে একজন পেশায় ইঙ্গিনিয়ার। অবসর সময় গল্প লেখেন।
Courtesy:
Music by FreeSound.org
Image by OpenClipart-Vectors from Pixabay
লেখক পরিচিতি :
প্রারম্ভিক জীবন : হরিনারায়ণ ১৯১৬ সালে কলকাতার ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তারপর তাদের বার্মা বা মিয়ান্মারে চলে আসতে হয়। রেঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে রেঙ্গুন আদালতে আইনজীবীর কাজ শুরু করেন তিনি। বার্মায় পঁচিশ বছর অতিবাহিত করার পরে ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি।
সাহিত্য জীবন : তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস রেঙ্গুনের পটভূমিকায় লেখা ইরাবতী ১৯৪৮ সালে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। শিশুদের জন্য লেখা বইয়ের মধ্যে বিখ্যাত হল, ভয়ের মুখোশ ও পাথরের চোখ। তাঁর রচিত সাহিত্য থেকে বাংলায় অভিসারিকা, অশান্ত ঘূর্ণি, জি টি রোড আর হিন্দিতে মুঠঠি ভর চাউল সিনেমাগুলি তৈরি হয়েছে। শিশুদের জন্য লিখেছেন বহু ছোটোগল্প, রহস্য কাহিনী, ভুতের গল্প, রম্যরচনা এবং উপন্যাস। হরিনারায়ণ বেতার নাটকে অভিনয় করতেন। কৌতুক অভিনেতা ভানু বন্দোপাধ্যায়ের অসংখ্য জনপ্রিয় রম্য নাটক তার লেখা। ১৯৭২ সালে মতিলাল পুরস্কার এবং ১৯৭৬ সালে তারাশঙ্কর পুরস্কারে সম্মানিত হন হরিনারায়ণ। ১৯৪৯ সালের চলচ্চিত্র চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন -এ তিনি দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ২০ জানুয়ারী ১৯৮১, কলকাতায় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মারা যান সাহিত্যিক হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।
Courtesy:
Music by FreeSound.ORG
Image by matrishva vyas from Pixabay
সত্যজিৎ রায় (২ মে ১৯২১ – ২৩ এপ্রিল ১৯৯২) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক এবং লেখক। তাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। সত্যজিতের জন্ম কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্প সমাজে খ্যাতনামা রায় পরিবারে। তার পূর্বপুরুষের ভিটা ছিল তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কিশোরগঞ্জে (বর্তমানে বাংলাদেশ) কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সত্যজিতের কর্মজীবন একজন বাণিজ্যিক চিত্রকর হিসেবে শুরু হলেও প্রথমে কলকাতায় ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা জঁ রনোয়ারের সাথে সাক্ষাৎ ও পরে লন্ডন শহরে সফররত অবস্থায় ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে দেখার পর তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ছিলেন বহুমুখী এবং তার কাজের পরিমাণ বিপুল। তিনি ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, এর মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” পুরস্কার। পথের পাঁচালী, অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯) – এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম হিসেবে বহুল স্বীকৃত। চলচ্চিত্র মাধ্যমে সত্যজিৎ চিত্রনাট্য রচনা, চরিত্রায়ন, সঙ্গীত স্বরলিপি রচনা, চিত্রগ্রহণ, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী-কুশলীদের নামের তালিকা ও প্রচারণাপত্র নকশা করাসহ নানা কাজ করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক। বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে বিখ্যাত হল ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন। তিনি এছাড়াও ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১টি গোল্ডেন লায়ন, ২টি রৌপ্য ভল্লুক লাভ করেন।
তিনি বেশ কয়েকটি ছোট গল্প এবং উপন্যাস রচনা করেছেন, প্রাথমিকভাবে শিশু-কিশোরদের পাঠক হিসেবে বিবেচনা করে। কল্পবিজ্ঞানে তার নির্মিত জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র গোয়েন্দা ফেলুদা এবং প্রোফেসর শঙ্কু। সত্যজিৎ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারত রত্ন সম্মাননা প্রদান করে। সত্যজিৎ ভারত রত্ন এবং পদ্মভূষণসহ সকল মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় পুরস্কার লাভ করেছেন।
২০০৪ সালে, বিবিসির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি তালিকায় সত্যজিৎ ১৩তম স্থান লাভ করেছিলেন। হৃদযন্ত্রের জটিলতার কারণে ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল সত্যজিৎ মৃত্যুবরণ করেন।
Courtesy:
FreeSound.org
Image by Vijaya narasimha from Pixabay
মনোজ বসুর জন্ম ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে র ২৫ শে জুলাই বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের যশোর জেলার কেশবপুর থানার ডোঙ্গাঘাট গ্রামের এক মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী পরিবারে। তবে বংশগৌরব ও খ্যাতি ছিল পরিবারটির। পিতা রামলাল বসু। মাত্র আট বৎসর বয়সে যখন পিতৃহীন হন তখন তিনি পাঠশালার গণ্ডি পার হন নি। প্রথমে নিজ গ্রামে পরে,১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রিপন কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করে প্রথম বিভাগে এন্ট্রান্স পাশ করেন। এরপর খুলনার বাগেরহাট কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়ার সময়ই তিনি বিপ্লবী দল - যুগান্তরের সংস্পর্শে আসেন ও স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে আই.এ পাশ করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার সাউথ সুবারবন কলেজ বর্তমানের আশুতোষ কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। পরে আইন পড়া শুরু করলেও আর্থিক কারণে তা শেষ করতে পারেননি।
সাহিত্যের প্রতি তাঁর অনুরাগ বাল্যকাল থেকেই ছিল। সাত বছর বয়স থেকে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন। ছাত্রাবস্থায় সহপাঠীদের নিয়ে হাতে লিখে দেওয়াল পত্রিকা বের করতেন। পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখা প্রথম গল্প ছিল "গৃহহারা"। তাঁর গল্পের সংকলন 'বনমর্মর' ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। নিজে যখন নিয়মিত কবিতা গল্প লেখালেখা শুরু করেন, সেই সাথে অন্যান্য প্রকাশনার কাজও করে গেছেন। গুরুসদয় দত্ত রচিত ব্রতচারীদের জন্য অপরিহার্য সঙ্গী -'ব্রতচারী সখা' র (১৯৩৩) প্রকাশনা করেন মনোজ বসু। এছাড়াও, গুরুসদয় দত্ত প্রতিষ্ঠিত 'বাংলার শক্তি'(১৯৩৬) মাসিক পত্রিকার সম্পাদনাও করতেন তিনি। প্রকাশনা ও সম্পাদনা কাজের পাশাপাশি তিনি নিজে উপন্যাস রচনা শুরু করেন। তাঁর প্রতিটি উপন্যাসে দেশ, ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের মানুষের দৈনন্দিন খুটিনাটি সমস্যা, বাংলার নিসর্গ চিত্র, গ্রামীণ মানুষের জীবনাচরণ চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে তাঁর লেখায়। সেসময়ের সশস্ত্র বিপ্লবীদের ব্যক্তিজীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন সর্বাধিক জনপ্রিয় গ্রন্থ "ভুলি নাই"। মূলতঃ,মানুষের জীবনকথা আর তাদের জগৎ নিয়ে বিভিন্ন পটভূমিতে তাঁর অভিজ্ঞতা পরিস্ফুট হয়েছে অসংখ্য কবিতায়, গল্পে , উপন্যাসে, নাটকে আর ভ্রমণকাহিনীতে। তাঁর রচিত গ্রন্থগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি হিন্দী, ইংরেজি,গুজরাটি,মারাঠা,মালয়ালাম ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণও হয়েছে। মনোজ বসু পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সভাপতি মণ্ডলীর অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন। ভারতের বহু সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংস্থার পৌরহিত্য করেছেন ও ভারতীয় সাংস্কৃতিক দলের প্রতিনিধি হিসাবে বহুবার বিদেশ ভ্রমণও করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল -
প্রাক-স্বাধীনতা পর্বের রাজনৈতিক পটভূমিতে রচিত গ্রন্থ -
'ভুলি নাই' (১৯৪২)
'সৈনিক' (১৯৪৬)
'আগস্ট ১৯৪২'
'বাঁশের কেল্লা'
গল্পগ্রন্থ-
'বনমর্মর' (১৯৩২)
'নরবাঁধ' (১৯৩৩)
'দেবী কিশোরী'( ১৯৩৪)
'পৃথিবী কাদের' (১৯৪০)
'কাঁচের আকাশ'
'খদ্যোত'
'দিল্লি অনেক দূর'
'দুঃখ-নিশার শেষে'
'উলু'
'কুঙ্কুম'
জীবনের অভিজ্ঞতায় প্রতিফলিত উপন্যাস ও অন্যান্য গ্রন্থ-
'আমি সম্রাট'
'সেই গ্রাম সেইসব মানুষ'
'নবীন যাত্রা'
'ওগো বধূ সুন্দরী'
'এক বিহঙ্গী'
'কিংশুক'
'মায়াকন্যা'
'একদা নিশীথকালে'( ১৯৪২)
'জলজঙ্গল' (১৯৫১)
'বৃষ্টি বৃষ্টি' (১৯৫৭)
'আমার ফাঁসি' (১৯৫৯)
'রক্তের বদলে রক্ত' (১৯৫৯)
'রূপবতী' (১৯৬০)
'বন কেটে বসত' (১৯৬১)
'নিশিকুটুম্ব' (১৯৬৩)
'সেতুবন্ধ'
'ঝিলমিল'
'পথ কে দেখাবে'
'বকুল'
'শত্রুপক্ষের মেয়ে'
'সবুজ চিঠি'
'মানুষ নামক জন্তু'
স্বদেশানুরাগদীপ্ত নাটক -
'প্লাবন'
'নতুন প্রভাত' (১৯৪৩)
'রাখীবন্ধন' (১৯৪৯)
অন্যান্য নাটক-
'শেষলগ্ন'
'বিপর্যয়'
'বিলাসকুঞ্জ বোডিং'
'ডাকবাংলো' - 'বৃষ্টি, বৃষ্টি' উপন্যাসের নাট্যরূপ
ভ্রমণকাহিনী -
'ভ্রমণকাহিনী'
'চীন দেখে এলাম'
'সোভিয়েতের দেশে দেশে'
Courtesy : Image by press 👍 and ⭐ from Pixabay
লেখক পরিচিতি : শিবরাম চক্রবর্তী (ডিসেম্বর ১৩, ১৯০৩-আগস্ট ২৮, ১৯৮০) প্রখ্যাত বাঙালি রম্যলেখক। কবিতা-রচনা দিয়ে সাহিত্য-জীবনের শুরু। প্রথম কবিতা বেরোয় ভারতী পত্রিকায়। প্রথম প্রকাশিত বই দুটিও -- 'মানুস' ও 'চুম্বন' -- কবিতার। দুটিই প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে। তারপর অজস্র লেখা লিখেছেন। প্রবন্ধ, নাটক এবং তুলনাহীন অজস্র হাসির গল্প। লিখেছেন ঈশ্বর পৃথিবী ভালবাসা ও ভালবাসা পৃথিবী ঈশ্বর নামের অনন্য স্মৃতিকথামূূলক দূটি বই। প্রবন্ধের বই : মস্কো বনাম পন্ডিচেরি ও ফানুস ফাটাই। নাটকের গ্রন্থ : যখন তারা কথা বলবে। বিচিত্র জীবন ছিল তার। রাজনীতি করেছেন, জেল খেটেছেন, রাস্তায় কাগজ ফেরি করেছেন, ফুটপাথে রাত্রিবাস করেছেন, সাংবাদিকতা করেছেন, আজীবন মেস-জীবন যাপন করেছেন । করেন নি যা, তা হল বিয়ে।
অনেক অবহেলার কারণে তাঁর জীবনের বহু লেখা সযত্নে সংরক্ষণ করতে পারেন নি তিনি। তাঁর বহু মূল্যবান লেখা অবহেলায় খুঁইয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর জীবনটাও কেটেছে চরম অবহেলায়। জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি গুরুতর আর্থিক সমস্যায় পড়েন। নিদারুণ অর্থকষ্টে তার জীবনটা ধীরে ধীরে স্থবির হয়ে পড়তে থাকে। অবশেষে তাঁর আর আপন বলে কিছুই ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে মাসিক ভাতা প্রদান করে। তিনি ১৯৮০ সালে কলকাতায় মারা যান।
Courtesy:
Freesound.org
Gordon Johnson from Pixabay
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্মঃ ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন,যেখানে তার জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে। ভারত বিভাজনের সময়, তার পরিবার কলকাতা চলে আসে।এই সময় রেলওয়েতে চাকুরীরত পিতার সঙ্গে তিনি অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তার জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি প্রথমে জলপাইগুড়ির ফনীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশন এ, ক্লাস Vlll অব্দি পড়েন, তারপরতিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত।
Courtesy:
Freesound.org
Augusto Ordonez from Pixabay
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্মঃ ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন,যেখানে তার জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে। ভারত বিভাজনের সময়, তার পরিবার কলকাতা চলে আসে।এই সময় রেলওয়েতে চাকুরীরত পিতার সঙ্গে তিনি অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তার জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি প্রথমে জলপাইগুড়ির ফনীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশন এ, ক্লাস Vlll অব্দি পড়েন, তারপরতিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত।
Courtesy:
Freesound.org
Stefan Keller from Pixabay
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্মঃ ২ নভেম্বর ১৯৩৫) একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প লিখে থাকেন। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২রা নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন,যেখানে তার জীবনের প্রথম এগারো বছর কাটে। ভারত বিভাজনের সময়, তার পরিবার কলকাতা চলে আসে।এই সময় রেলওয়েতে চাকুরীরত পিতার সঙ্গে তিনি অসম, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বিভিন্ন স্থানে তার জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি প্রথমে জলপাইগুড়ির ফনীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশন এ, ক্লাস Vlll অব্দি পড়েন, তারপরতিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকা ও দেশ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত।
Courtesy: Freesound.org, OpenClipart-Vectors from Pixabay
বিমল কর (১৯ সেপ্টেম্বর ১৯২১ - ২৬ আগস্ট ২০০৩) একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি উত্তর ২৪ পরগণার টাকীতে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম জ্যোতিষচন্দ্র কর এবং মাতা নিশিবালা কর।
বিমল কর জব্বলপুর, হাজারিবাগ, ধানবাদ, আসানসোল প্রভৃতি জায়গায় ছোটবেলা কাটিয়েছেন । তিনি বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে বিএ পাস করেন । তারপর আসানসোল অ্যামিউনেশন প্রোডাকশন ডিপোয় এআরপি হিসাবে কর্মজীবনের শুরু হয়।
১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে তার রচিত প্রথম ছোটগল্প অম্বিকানাথের মুক্তি প্রবর্তক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত পরাগ পত্রিকায় সহ সম্পাদকের কাজ পান । সহ সম্পাদক হিসাবে তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও সত্যযুগ পত্রিকায় কাজ করেন । ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে তার রচিত প্রথম ছোটগল্প সংকলন বরফ সাহেবের মেয়ে প্রকাশিত হয় । সেই বছরেই দেশ পত্রিকার বিভাগীয় প্রধান হিসাবে যোগ দেন । এই পদে তিনি ১৯৮২ সাল অবধি ছিলেন। এছাড়া তিনি শিলাদিত্য এবং গল্পপত্র পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
ছোটদের জন্য তার রচিত একটি চরিত্র অবসরপ্রাপ্ত ম্যাজিসিয়ান কিঙ্কর কিশোর রায় বা কিকিরা । কিকিরার উপন্যাস পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলায় প্রকাশিত হত। তার রচিত বেশ কয়েকটি কাহিনীতে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে । যেমন বসন্ত বিলাপ, বালিকা বধূ, (যেটি হিন্দিতেও নির্মিত হয়েছিল) যদুবংশ, ছুটি (এটি তৈরি হয়েছিল তার খড়কুটো উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে)।
বিমল কর অসময় উপন্যাসের জন্য ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্য একাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন । এছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরৎচন্দ্র পুরস্কার, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ দাস পুরস্কার পান । তিনি দুবার আনন্দ পুরস্কার লাভ করেছিলেন । তিনি বহু ছোটগল্প এবং কিশোর উপন্যাসও লিখেছিলেন। বিমল কর ৮২ বছর বয়েসে তার বিধাননগরের বাসভবনে মারা যান ।
Image Courtesy : Jai Suthar from Pexels
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্ম 2 নভেম্বর 1935) ভারতের একজন বাঙালি লেখক। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য গল্প লিখেছেন। তিনি তুলনামূলকভাবে নতুন কাল্পনিক গল্প তৈরির জন্য পরিচিত বরোদাচরণ, ফটিক এবং শবর দাশগুপ্তকে।
শিরশেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহে (বর্তমানে বাংলাদেশে) জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দশ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানে বসবাস করেন। দেশ বিভাগের সময় তাঁর পরিবার কলকাতায় পাড়ি জমান। তিনি তাঁর শৈশব বিহার এবং বাংলায় ও আসামের অনেক জায়গায় কাটিয়েছেন তাঁর বাবা, যিনি রেলপথে কাজ করেছিলেন তার সাথে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর গ্রহণের আগে তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছিলেন।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় স্কুল শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং এখন তিনি কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার কর্মী হিসাবে রয়েছেন। তিনি বাংলা ম্যাগাজিন দেশের সাথে যুক্ত ।
নিম্নলিখিত উপন্যাসগুলি নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে -
পাতালঘর 2003 সালে অভিজিৎ চৌধুরী পটলঘর একটি সিনেমায় রূপান্তর করেছিলেন।
তাঁর ছোট গল্প "দোসর" চিত্রিত করেছিলেন রিতুপর্ণ ঘোষ ।
পরিচালক বাপ্পাদিত্য বন্দোপাধ্যায় পরিচালিত কাগজির বউকে ২০১১ সালের একটি ছবিতেও রূপান্তরিত করেছিলেন।
নবীগঞ্জার দৈত্য তপন সিনহার একটি সিনেমা "আজব গায়ের আজব গল্প " রূপান্তরিত হয়েছিল।
রিতুপর্ণ ঘোষের হিরার আঙ্গি সিনেমায় হিরার আঙ্গি রূপান্তরিত হয়েছিল।
সাধুবাবর লাঠিকে একটি সিনেমায় সাধু বাবর লাঠি অভিযোজিত হয়েছিল।
২০১০ সালে, বাঁশীওয়ালা নামে একটি চলচ্চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, যার চিত্রনাট্য তাঁর লেখা 'বানশীওয়ালা' উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছে। 'বনশীওয়ালা' প্রকাশিত হয়েছিল দেশ পত্রিকায়ও।
"পুজাবর্ষী আনন্দমেলা" এ প্রকাশিত গোসাইনবাগান ভূত ২০১১ সালে গোসাইনবাগান ভূত একটি সিনেমায় রূপান্তরিত হয়েছিল।
Image Courtesy : bere von awstburg from Pixabay
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (জন্ম 2 নভেম্বর 1935) ভারতের একজন বাঙালি লেখক। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য গল্প লিখেছেন। তিনি তুলনামূলকভাবে নতুন কাল্পনিক গল্প তৈরির জন্য পরিচিত বরোদাচরণ, ফটিক এবং শবর দাশগুপ্তকে।
শিরশেন্দু মুখোপাধ্যায় ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহে (বর্তমানে বাংলাদেশে) জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং দশ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানে বসবাস করেন। দেশ বিভাগের সময় তাঁর পরিবার কলকাতায় পাড়ি জমান। তিনি তাঁর শৈশব বিহার এবং বাংলায় ও আসামের অনেক জায়গায় কাটিয়েছেন তাঁর বাবা, যিনি রেলপথে কাজ করেছিলেন তার সাথে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর গ্রহণের আগে তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছিলেন।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় স্কুল শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং এখন তিনি কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার কর্মী হিসাবে রয়েছেন। তিনি বাংলা ম্যাগাজিন দেশের সাথে যুক্ত ।
নিম্নলিখিত উপন্যাসগুলি নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে -
পাতালঘর 2003 সালে অভিজিৎ চৌধুরী পটলঘর একটি সিনেমায় রূপান্তর করেছিলেন।
তাঁর ছোট গল্প "দোসর" চিত্রিত করেছিলেন রিতুপর্ণ ঘোষ ।
পরিচালক বাপ্পাদিত্য বন্দোপাধ্যায় পরিচালিত কাগজির বউকে ২০১১ সালের একটি ছবিতেও রূপান্তরিত করেছিলেন।
নবীগঞ্জার দৈত্য তপন সিনহার একটি সিনেমা "আজব গায়ের আজব গল্প " রূপান্তরিত হয়েছিল।
রিতুপর্ণ ঘোষের হিরার আঙ্গি সিনেমায় হিরার আঙ্গি রূপান্তরিত হয়েছিল।
সাধুবাবর লাঠিকে একটি সিনেমায় সাধু বাবর লাঠি অভিযোজিত হয়েছিল।
২০১০ সালে, বাঁশীওয়ালা নামে একটি চলচ্চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, যার চিত্রনাট্য তাঁর লেখা 'বানশীওয়ালা' উপন্যাস থেকে গৃহীত হয়েছে। 'বনশীওয়ালা' প্রকাশিত হয়েছিল দেশ পত্রিকায়ও।
"পুজাবর্ষী আনন্দমেলা" এ প্রকাশিত গোসাইনবাগান ভূত ২০১১ সালে গোসাইনবাগান ভূত একটি সিনেমায় রূপান্তরিত হয়েছিল।