আপনি কি খুব চিন্তা করেন? চারিদিকে এতো সমস্যা জাস্ট আমি আর নিতে পারছিনা,,, এভাবে চলতে থাকলে দেখবে একদিন আমি ঠিকই পাগল হয়ে যাবো,,,! Hlw ফ্রেন্ডস সবাই কেমন আছো? আশা করছি সকলে খুব ভালো আছো,,,আর যদি ভালো না থাকো তাহলে একদম মন খারাপ করোনা,,, তোমার সমস্যা তুমি আমাকে জানাতে পারো আমার Facebook page - Kazi Nasira khatun অথবা আমার Instagram account - Nasirakhatun179 এ। আচ্ছা আপনি কি কোনো সমস্যায় পড়েছেন? অকারণে দুশ্চিন্তা করছেন? তাহলে এই এপিসোডটি অবশ্যই আপনার জন্য। এখানে মনোযোগ সহকারে সবার সমস্যা শোনা হয় এবং সমস্যা সমাধানের উপায় বলা হয়,,,। তাই কোথাও না গিয়ে শুনতে থাকুন আমার সাথে মানে নাসিরার সাথে সমস্যার সমাধানে,,,। আজকে আমি যে কথাগুলো আপনাদের সাথে share করবো সম্পূর্ণ আমার ব্যাক্তিগত মতামত কারণ আমি নিজেই কয়েকবছর আগে এমন অতিরিক্ত Tension করতাম অনেকসময় জার কোনো কারণ থাকতোনা। হঠাৎ করেই react করে ফেলতাম কেউ কিছু বললে। অন্যের feelings বোঝার চেষ্টা করতামনা। কেউ আমার কোনো কাজকে খারাপ বললে আমার কেমন কষ্ট হতো,,,হাত পা কাপতো,গা দিয়ে ঘাম আসতো, কেমন যেনো দিশেহারা হয়ে যেতাম,,,। আমি কিভাবে এই সমস্যাগুলি থেকে নিজেকে মুক্ত করেছি সেই বিষয় নিয়েই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। কম বেশি আমরা সকলেই চিন্তা করে থাকি নানান কারণে কিন্তু কেনো করি অনেকসময় তার কারণটাই অজানা থাকে আমাদের কাছে। তাই অবশ্যই জানতে হবে আমরা চিন্তা কেনো করছি,,। প্রথমে আমরা জানবো চিন্তা আসলে কি এবং চিন্তা কয় প্রকার? চিন্তা হলো আমাদের মনের ভাবনা, আবেগ বা উত্তেজনা,,, যেটাকে আমরা tension করা বলে থাকি। এই চিন্তা সাধারনত দুরকমের হয়ে থাকে - একটা দুশ্চিন্তা যার কোনো কারণ নেই অকারনেই চিন্তা হয় সবসময়,,,। আর একটি হচ্ছে বর্তমান এবং ফিউচারের নানা কারণ নিয়ে চিন্তা করা,,,। যেমন ধরুন আপনার কাল পরীক্ষা পরীক্ষাটি কেমন হবে? কেমন teacher গার্ড দেবেন? কেমন question হবে আমি কমন পাবতো? আবার ধরুন হতে পারে সামনের মাসে আপনার বিয়ে সেটা নিয়ে আপনি চিন্তা করছেন ভাবছেন সেখানকার মানুষজন কেমন হবে? আপনি তাদের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা? এরকম আরো অনেক কারণ আছে যেগুলি নিয়ে আমরা নিয়মিত চিন্তা করে থাকি। এবারে আমরা জানবো অতিরিক্ত tension করলে আমরা কি কি সমস্যাতে পরতে পারি,,,,নিয়মিত চিন্তা থেকে আমরা anxiety বা হার্ট এর রোগের মতো অসুখে পরতে পারি। চিন্তা থেকেই কিন্তু depression বা anxiety আসে,,,তাই যতটা সম্ভব আমাদেরকে চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। পৃথিবীতে এমন কোনো প্রাণী নেই যে চিন্তা করেনা,,,তাই আমরা কেউ কখনোই চিন্তাকে নির্মূল করতে পারবো না কিন্তু control করতে পারবো। তাই অবশ্যই আমাদেরকে চিন্তা বা tension কে control করতে জানতে হবে। কোনো বিষয়েই বেশি উত্তেজিত হবেননা,,, হঠাৎ করেই কোনো কিছুতে রিয়াক্ট করবেন না। আপনি যদি দেখেন হঠাৎ কোনো কারণে আপনার শরীরে ঘাম আসছে,হাত পা কাপছে,বুকে ব্যাথা অনুভব করছেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি কোনো কারণে depression এ আছেন আর এগুলি কিন্তু anxitey বা heart এর অসুখ সৃষ্টি করে। এবারে আমরা জানবো Tension থেকে মুক্তির উপায়- প্রথমত,আমাদেরকে নিজের কাছে ভীষণ সৎ থাকতে হবে,,, আর কখনো কাউকে মিথ্যা বলা চলবেনা,,,!অন্যকে মিথ্যা বলা মানে কিন্তু নিজেকে ধোঁকা দেওয়া,,,! আর এতে মানসিক চাপ ও বারে তাই যতটা পারবেন মিথ্যা কম বলবেন এতে আপনারই ভালো হবে,,,নিজেকে একটু বেশি ব্যস্ত রাখতে হবে।অবসর সময়ে বেশি ফোন না ঘেঁটে নতুন creative কিছু শেখা যেতে পারে,,,অবশ্যই সেটার মধ্যে আপনার ভালো লাগা থাকতে পারে। হতে পারে আপনি নতুন নতুন রান্নার recipe শিখতে ভালোবসেন তাহলে তাই করুন। যদি কেউ কোনোরকম হাতের কাজ করতে ভালবাসেন তাহলে অবসর সময়ে সেগুলি করতে পারেন। আমি অনেকের মুখে শুনেছি উল বুনলে নাকি stress কমে যায় আপনারা চাইলে সেটাও ট্রাই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, আপনি যে অতিরিক্ত চিন্তা করছেন কেনো করছেন তার কারণটা একটা dairy অথবা খাতাতে লিখে ফেলুন তারপর সেটা ২-৩ বার reading দিন,,,আপনি যখন আপনার লেখাগুলো নিজে বার বার পড়বেন তখন নিজেই বলবেন আমি এই সামান্য ব্যাপারে চিন্তা করতাম এতো কিছুইনা,,,।আপনি যদি কোনো সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেন তখন automatic আপনার মনে হবে আমি এটা নিয়ে এত চিন্তা করছি এমন অনেক মানুষ এই পৃথিবীতে আছে যারা আমার থেকে অনেক বড়ো বড়ো সমস্যাতে আছে তাদের থেকে আমি অনেক ভালো আছি। তৃতীয়, আমাদেরকে অবশ্যই sacrifice বা compromise করতে জানতে হবে,,, এতে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়। ক্ষমা করতে শিখতে হবে নিজেকে এবং অপরকে,,,আপনি ভাবছেন আমি এই ভুলটি কি করে করলাম এটা আমি করতেই পারিনা এটা আমার সাথে কেনো হলো এগুলো কিন্তু depression এর কারণ। মানুষ মাত্রই ভুল করবে কিন্তু সেটাকে শুধরে নিতে হবে।