
আজ ৮ মার্চ। বিশ্ব নারী দিবস। আজকের দিনে যাঁদের কথা বললে বাঙালির মাথা নত হয়ে আসে, তাঁরা হলেন কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় ও চন্দ্রমুখী বসু। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে প্রথম দুই ভারতীয় মহিলা স্নাতক। কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় হলেন প্রথম বাঙালি মহিলা ডাক্তার। উনিশ শতকের রক্ষণশীল বাংলায় যথার্থই বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন তিনি।
১৯৮৩ সালে বেথুন কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক হন কাদম্বিনী। এরপর ঠিক করেন ডাক্তারি পড়বেন। শুনে তো সবাই অবাক। সেই সমাজে মহিলাদের পরপুরুষের সামনে আসাকে পাপ বলে মনে করতেন অনেকে। সেখানে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়বেন সামান্য এক মেয়ে! মৃতদেহ নিয়ে কাটাছেঁড়া করবেন! কিন্তু মেয়ের এমন সাহসিকতা দেখে এগিয়ে এসেছিলেন বাবা ব্রজকিশোর বসু। ১৮৮৩ সালে মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি হওয়ার পর কিছু শিক্ষক ও সহপাঠীও কাদম্বিনীর স্পর্ধায় হতবাক। তবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন শিক্ষক-চিকিৎসক দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন কাদম্বিনী। শোনা যায়, স্নাতকস্তরের পরীক্ষায় নাকি মাত্র ১ নম্বর কম দিয়ে কাদম্বিনীকে ফেল করিয়েছিলেন এক বাঙালি অধ্যাপক। সেই সময় এগিয়ে আসেন ব্রিটিশ চিকিৎসক জে এম কোটস। তাঁর ঐকান্তিক উদ্যোগেই কাদম্বিনীকে ‘লাইসেন্সিয়েট ইন মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি’ শংসাপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ঘটনার পর ফাইনাল পরীক্ষার সময় ফের ফেল করানো হয় তাঁকে। এরপর আবারও নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন ডাঃ কোটস। কাদম্বিনীকে ‘গ্র্যাজুয়েট অব বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ’ ডিগ্রি দেন তিনি। এরপর পেশাদার চিকিৎসক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কাদম্বিনী।
অপরদিকে চন্দ্রমুখী বসু হলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমএ পাশ মহিলা। দেরাদুন নেটিভ স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষার অনুমতি পান [7:50 pm, 08/03/2024] অর্ণব: ১৮৭৬ সালে। জুনিয়র পরীক্ষা বোর্ড তাঁকে প্রবেশিকা মানসম্পন্ন ধরলেও বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় স্বীকার করেনি। ১৮৮০ সালে ফ্রি চার্চ নর্মাল স্কুল থেকে চন্দ্রমুখী দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। ১৮৮৪ সালে তিনি প্রথম মহিলা হিসেবে ইংরেজিতে এমএ পাশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে বেথুন কলেজের প্রিন্সিপাল হন চন্দ্রমুখী।
তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা।
সূত্রধর: অর্ণব
Facebook:
https://facebook.com/EtiTomaderArnab
Insta:
https://instagram.com/eti_tomader_arnab
Youtube:
https://youtube.com/@etitomaderarnab8304