
[10:09 pm, 18/02/2024] অর্ণব: মমির প্রসঙ্গ উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মিশরের ছবি। তাছাড়াও চিলি, কলম্বিয়া বা ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জেও মমির সন্ধান মিলেছে। সে-কথা অনেকেরই জানা। কিন্তু কেউ যদি মমি দেখার জন্য ইতালি ভ্রমণের প্রস্তাব দেয়? হ্যাঁ, ইতালিতে মমি! অবাক লাগছে নিশ্চয়ই? ইতালির ফ্রিউলি-ভেনিজিয়া গিউলিয়ার উডিন প্রদেশে গেলে বদলে যাবে এই ধারণা। চমকের এখানেই শেষ নয়। ইতালির এই মমিদের বিশেষত্ব হল, তারা বসবাস করে মানুষের সঙ্গেই। এমনকী মমিরা কখনও কখনও হয়ে ওঠে চা-পান কিংবা খেলার সঙ্গী। খুলেই বলা যাক ঘটনাটা। ইতালির ভেনজোনে শহর। ১৬৪৭ সাল। সেখানকার অন্যতম গির্জা সান মাইকেল চ্যাপেলের পুনর্নির্মাণ চলছে তখন। সেইসময়ই গির্জার বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৪২টি মৃতদেহ। বলা ভালো ৪২টি মমি। অবশ্য মমি কথাটি তখনও ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়েনি। আর কাপড় নয়, বরং পাতলা শুকনো পার্চমেন্ট কাগজের আস্তরণে মোড়া ছিল ওই মৃতদেহ গুলি। স্বাভাবিকভাবেই মমির ধারণা না থাকায়, গির্জার সন্ত ও ভক্তদের বিশ্বাস ছিল, স্বয়ং ঈশ্বরই হয়তো তাঁদের পূর্বপুরুষদের এভাবে পাঠিয়েছেন তাঁদের কাছে। সেখান থেকেই শুরু হয় মমিদের সঙ্গে মানুষের বসবাস। একটা সময় গির্জার অভিভাবকও হয়ে উঠেছিল এই মমিরা। গ্রাম ছাড়ার আগে বহু মানুষ আশীর্বাদও নিয়ে যেতেন মমিদের থেকে। মমি-মানুষের এই অদ্ভুত সম্পর্ক স্থায়ী ছিল পাঁচের দশক পর্যন্ত। এই মমি সংস্কৃতি হয়ে উঠেছিল ভেনজোনের ঐতিহ্য।
তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা।
সূত্রধর: অর্ণব
Facebook:
https://facebook.com/EtiTomaderArnab
Insta:
https://instagram.com/eti_tomader_arnab
Youtube:
https://youtube.com/@etitomaderarnab8304
ইতালির মমি রহস্য