
বাগবাজারের অখ্যাত এক মিষ্টির দোকান। তার সামনে এসে দাঁড়াল ঘোড়ায় টানা গাড়ি। গাড়িতে ছিল ধনী মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী ভগবান দাস বাগলার পরিবার। তাঁর ছোট ছেলের তখন গলা ফাটছে পিপাসায়। দোকান দেখে তাই দাঁড়িয়েছে গাড়ি। বাবার হাত ধরে নেমে এসেছে নাবালক। শুধু জল দেওয়া রীতি নয়, তাই জলের পাত্র তুলে দেওয়ার আগে সেই ছেলের হাতে গোলাকার মিষ্টি তুলে দিয়েছিলেন ময়রা। পিপাসা মেটার সঙ্গে অদ্ভুত স্বাদ অভিভূত করেছিল খুদেকে। এমন মিষ্টি সে আগে খায়নি। বাবাকে বলেছিল সে কথা। তা শুনে এক হাঁড়ি মিষ্টি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ভগবান দাস। পরিবারের সকলেই এমন সুস্বাদু গোল্লার প্রেমে মাতোয়ারা। এ যেন ম্যাজিক! অভিনব সেই মিষ্টির কথা ব্যবসায়ী পরিবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল গোটা কলকাতায়। এভাবেই খ্যাতির প্যারাসুটে সওয়ার হয়েছিল রসগোল্লা। নবীনচন্দ্রের সৃষ্টিকে তিলোত্তমায় ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা ছিল ওই মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীর। গবেষকদের মতে, ১৮৬৮ সালে কলকাতায় বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাসের হাতে সৃষ্টি হয় রসগোল্লা। তাঁর নামে জুড়েছে ‘রসগোল্লার কলম্বাস’ শিরোপা। ১৮৬৪ সালে জোড়াসাঁকোয় একটি মিষ্টির দোকান খোলেন কলকাতার চিনি ব্যবসায়ী নবীনচন্দ্র দাস। দোকানটি বেশি দিন চলেনি। ফের ১৮৬৬ সালে বাগবাজারে আরও একটি মিষ্টির দোকান খোলেন তিনি। দোকানটির প্রধান মিষ্টি ছিল সন্দেশ। শহরের খানদানি বণিকদের আশ মিটছিল না সন্দেশে। নতুন কিছু তৈরির কথা ভাবছিলেন নবীন। দু’বছরের মধ্যে তিনি তৈরি করেন রসগোল্লা। সেই রসগোল্লার মালিকানা নিয়ে আইনি লড়াইয়ে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রসগোল্লার জিআই ট্যাগ লাভ করে পশ্চিমবঙ্গ। যা বাংলার পাশাপাশি নবীনেরও জয়।
তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা।
সূত্রধর: অর্ণব
Facebook:
https://facebook.com/EtiTomaderArnab
Insta:
https://instagram.com/eti_tomader_arnab
Youtube:
https://youtube.com/@etitomaderarnab8304