
গানগুলো ভালোই হয়েছে। তবে এগুলো ‘কোরাস’ গাওয়ার পক্ষে উপযুক্ত। আপনি অন্য গান তৈরি করলে ফের নিয়ে আসবেন। আমি শুনব। ভালো লাগলে নিশ্চয়ই গাইব। লম্বা, ফরসা, সুদর্শন, গায়ক ভদ্রলোকের কথা শুনে নিরাশ হলেন সলিল। ভাঙা মন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে এক পা, এক পা করে নামতে থাকলেন কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী সলিল চৌধুরী। গড়িয়াহাটের যশোদা ভবনের গুপ্ত ডেরা থেকে ভবানীপুরের ইন্দ্র রায় রোডে ছুটে আসা তবে বিফলই হল! ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছাত্র তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মী কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনেই এখানে আসা, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছে।
দু’-তিন ধাপ নেমে হঠাৎ কী মনে হল, ঘুরে তাকালেন সলিল। দরজায় তখনও দীর্ঘকায় মানুষটি দাঁড়িয়ে। সলিল ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, আর একটা গান আছে আমার কাছে, যদিও পুরোটা হয়নি...। হেমন্ত বললেন, বেশ তো শোনান না। আবার উঠে গেলেন সদ্য তরুণ সুরকার। খাতা বের করে শোনাতে শুরু করলেন।
বাঃ এই গানটা তো ভালো হয়েছে। এটা আমি গাইতে পারি। আপনি শেষ করুন গানটা। খুশি মনে ফিরে এলেন সলিল। গান শেষ করে দিয়েও এলেন। সেটা ১৯৪৯ সাল। হঠাৎ করেই নিষিদ্ধ হল কমিউনিস্ট পার্টি। সলিল গা ঢাকা দিলেন সন্দেশখালিতে। সেখানে বসেই শুনতে পেলেন তাঁর সেই গান ‘কোনও এক গাঁয়ের বধূ’ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে রেকর্ড হয়ে বেরিয়েছে। হেমন্ত নিজেই মিউজিক অ্যারেঞ্জ করেছেন। হইচই পড়ে গিয়েছে বাংলাজুড়ে। গানটি যাকে বলে ‘স্ম্যাশ হিট’ তাই হয়েছে। তবে সেই রেকর্ড এখন প্রায় দুষ্প্রাপ্য। গানটি ফের নতুন ভাবে মিউজিক অ্যারেঞ্জ করে রেকর্ড করা হয়। বর্তমানে আমরা যে গানটি শুনি সেটি সেই দ্বিতীয় বারে রেকর্ড করা। সে আর এক গল্প।
তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা।
সূত্রধর: অর্ণব
Facebook:
https://facebook.com/EtiTomaderArnab
Insta:
https://instagram.com/eti_tomader_arnab
Youtube:
https://youtube.com/@etitomaderarnab8304