
[12:04 am, 22/3/2024] অর্ণব: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর বোলপুর। আম বাঙালির কাছে দু’টি নামই যেন সমার্থক। ছোটবেলায় বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরেই বীরভূমের এই অঞ্চলের সঙ্গে আলাপ বিশ্বকবির। পরবর্তীতে তাঁর বৃহৎ কর্মকাণ্ডের জেরে বিশ্বের ইতিহাসে স্থান করে নেয় বোলপুর। এক সময় অবশ্য এই জনপদের থেকেও বিখ্যাত ছিল পার্শ্ববর্তী সুপুর। সে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের কথা। আজকের বঙ্গদেশের রাঢ় অঞ্চলে সেই সময় নাকি রাজত্ব করতেন সুবাহু সিংহ। তিনিই প্রতিষ্ঠা করেন সুবাহুপুর নামে একটি নগর। শোনা যায়, লোকমুখে এই সুবাহুপুর হয়ে ওঠে সুপুর। অজয় নদীর তীরে অবস্থিত এই জনপদটিকে ঘিরে রয়েছে একাধিক লোককথা ও কিংবদন্তি। এসবের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বোলপুরের নামকরণের ইতিহাস।
মার্কণ্ডেয় পুরাণে আমরা রাজা সুরথের হদিশ পাই। অনেকে বলে থাকেন, তিনি নাকি রাজা সুবাহু সিংহের বংশধর। সুপুরের রাজা ছিলেন সুরথ। জানা যায়, একবার তিনি নাকি কর্ণাট দেশ জয় করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। যদিও তা সফল হয়নি। পরে একসময় প্রজারাও তাঁকে ত্যাগ করে। রাজ্যহারা হয়ে শক্তিসাধনা শুরু করলেন রাজা। সুরথের সাধনায় তুষ্ট হলেন দেবী। ফিরিয়ে দিলেন হারানো রাজ্য। আবার অন্য এক লোককথা অনুযায়ী, রাজ্যহারা হয়ে সুরথ নাকি এই সুপুরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই সময় এখানকার গ্ৰামদেবী ছিলেন ভগবতী শিবিক্ষা। দেবীকে তুষ্ট করতে লক্ষাধিক বলি দিয়েছিলেন রাজা সুরথ। এর জেরেই সুপুরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির নাম হয় বলিপুর। গবেষক ও সাংবাদিক প্রয়াত বিনয় ঘোষের লেখা থেকে জানা যায়, এই বলিপুরই নাকি আজকের বোলপুর। কিংবদন্তি ও লোককথা অনুযায়ী এভাবেই বোলপুরের জন্ম।
তথ্যসূত্র:বর্তমান পত্রিকা।
সূত্রধর: অর্ণব
Facebook:
https://facebook.com/EtiTomaderArnab
Insta:
https://instagram.com/eti_tomader_arnab
Youtube:
https://youtube.com/@etitomaderarnab8304