
হিমযুগসুনীল গঙ্গোপাধ্যায় শরীরের যুদ্ধ থেকে বহুদূর চলে গিয়ে ফিরে আসি শরীরের কাছেকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে...শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোৎস্নার মতো যোনিমধুকূপী ঘাসের মতন রোম, কিছুটা খয়েরিকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে।আমার নিশ্বাস পড়ে দ্রুত, বড়ো ঘাম হয়, মুখে আসে স্তুতি নিেকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে-নয় ক্রুদ্ধ যুদ্ধ, ঠোঁটে রক্ত, জঙ্ঘার উত্থান, নয় ভালোবাসাভালোবাসা চলে যায় একমাস সতেরো দিন পরঅথযা বৎসর কাটে, যুগ, তবু সভ্যতা রয়েছে আজও তেমনি বর্বরতুমি হও নদীর গর্ভের মতো গভীরতা, ঠাণ্ডা, দেবদূতীকথা দিয়েছিলে তুমি উদাসীন সঙ্গম শেখাবে।মৃত শহরের পাশে জেগে উঠে দেখি আমি প্লেগ, পরমাণুকিছু নয়,স্বপ্ন অপছন্দ হলে পুনরায় দেখাবার নিয়ম হয়েছেমানুষ গিয়েছে মরে, মানুষ রয়েছে আজও বেঁচেভুল স্বপ্নে ; শিশিরে ধুয়েছো বুক, কোমল জ্যোৎস্নার মতো যোনিতুমি কথা দিয়েছিলে...এবার তোমার কাছে হয়েছি নিঃশেষে নতজানুকথা রাখো! নয় রক্তে অম্বক্ষুর, স্তনে দাঁত, বাঘের আঁচড় কিংবাউরুর শীৎকারমোহমুদ্গরের মতো পাছা আর দুলিও না, তুমি হৃদয় ও শরীরের ভাষ্যনও, বেশ্যা নও, তুমি শেষবারপৃথিবীর মুক্তি চেয়েছিলে, মুক্তি, হিমযুগ, কথা দিয়েছিলে তুমিউদাসীন সঙ্গম শেখাবে ৷৷উচ্চারন - অরিজিৎ বনিক